কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার অভাবের তাড়নায় ভরণ পোষণ দিতে না পেরে পরিবারের সদস্যদের শারীরিক আর মানসিক অত্যাচারে বাধ্য হয়ে এক মা তার ১৫মাস বয়সী কোলের শিশু সন্তানকে ব্রীজ থেকে পানিতে ফেলে দেবার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সকালে বলদিয়া ইউনিয়নের কাশিমবাজার সংলগ্ন একটি ব্রীজে এই হৃদায় বিদারক ঘটনাটি ঘটে। মানুষের ব্রীজ থেকে প্রায় ২০ফুট নীচে অথৈ পানিতে ফেলে দেয় শিশুটির মা জামিলা বেগম।
পানিতে পড়ার শব্দ পেয়ে ভাসতে থাকা শিশু জাহিদকে জীবিত উদ্ধার করে পথচারী ও স্থানীয়রা। এসময় মা জমিলা বেগম পালিয়ে যান। শিশুটি বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক রফিকুল ইসলাম-এলিনা দম্পত্তির হেফাজতে রয়েছে। শিশুটি এখন সুস্থ রয়েছে।
জমিলা বেগম জানান, এক বছর আগে এক মাসের কোলের সন্তান জাহিদকে নিয়ে স্বামী হাফিজুর রহমানের বাড়ি রংপুর থেকে বিতাড়িত হন তিনি। এরপর আশ্রয় জোটে পূর্ব কেদার গ্রামের দরিদ্র বাবা জয়নাল মিয়ার কাছে। বাবার সংসারে এর আগেই বড় বোন তিন সন্তানকে নিয়ে অবস্থান করছিল।
দিনমুজুর বাবার বাড়িতে অভাব অনটন থাকায় তার সন্তানের ভরন পোষণ নিয়ে প্রায় দ্বন্দ হতো পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে। সন্তানের খাবার এবং খরচ চালাতে মাঝে মধ্যে তাকে নিযার্তন সহ্য করতে হয়। শারীরিক আর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে সন্তানকে পানিতে ফেলে দেবার সিদ্ধান্ত নেন জামিলা। সেই ক্ষোভ আর হতাশা থেকে বাড়ির সকলের অগোচরে সন্তানকে নিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কাশিম বাজার ব্রীজ থেকে সন্তানকে নীচে পানিতে ফেলে দেন।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার্ দীপক কুমার দেব শর্মা জানান,বিষয়টি কেউ আমাকে জানায় নি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে ওই পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।